ইভটিজিংয়ের ঘটনায় শাবি ফটক রণক্ষেত্র
দিনবদল ডেক্স: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ইভটিজিং এর জের ধরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বখাটেদের সংঘর্ষ হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ৮ থেকে ১০জন আহত হয়। আহতদের কারো পরিচয় জানা যায়নি। তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, রবিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকস্থ ‘আড্ডা স্ন্যাক্স’-এ ফ্লেক্সিলোড করতে গেলে লিমন ও মোস্তাক নামে দুই বখাটে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করে। বিষয়টি ঐ শিক্ষার্থী তার পরিচিত কয়েকজনকে জানালে তারা লিমন ও মোস্তাকের সঙ্গে কথা বলতে যান।
কথা বলার এক পর্যায়ে মোস্তাক এক শিক্ষার্থীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে ও গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে বিষয়টি হাতাহাতি ও সংঘর্ষে রূপ নেয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সিলেট সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে। প্রায় ঘন্টাখানেক সড়ক অবরোধ করলে কে বা কারা সেখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তখন শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে সরে যায়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। তবে শিক্ষার্থীরা ‘মোস্তাক ও লিমনের গ্রেফতার ও উপযুক্ত শাস্তি’ না হলে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত করবে বলে ভিসিকে জানান। ভিসি ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আছেন’ বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এসময় কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তারা আমাদের সাথে যে আচরণ করেছে, ইটপাটকেল ও ককটেল মেরেছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা এখানে পড়াশোনা করতে এসেছি।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসে মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বদর উদ্দীন আহমেদ কামরান। তিনি উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন এবং সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. মুনশী নাসের ইবনে আফজাল বলেন, ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এলাকার প্রভাবশালী লোকদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।