ইউনাইটেড গ্রুপ জমি বিক্রির ১৪ বছর পর ক্রেতাকে উচ্ছেদ ও প্রাণনাশের হুমকি !
শনিবার,
১১ জুন ২০২২ ইং,
২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ,
দিনবদল সংবাদদাতা:
জমি বিক্রির ১৪ বছর পর ক্রেতাকে উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে স্বানামধন্য ইউনাইটেড গ্রুপের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রতিবাদ ও আইনি ব্যবস্থায় যাওয়ায় জমির ক্রেতাসহ তার পরিবারকে গুম ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তোলেন ইউনাইটেড গ্রুপের কাছ থেকে কেনা জমির মালিক দাবিদার এম এম এ কাদের। শনিবার (১১ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে তিনি জানান, গত ২০০৬ সালে ইউনাইটেড গ্রুপের আওতাভুক্ত নেপচুন ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট থেকে স্ত্রী ইয়াসমিন ও তার টাকা মিলিয়ে ১ বিঘার প্লট কেনেন তিনি। পরে সেখানে টিনের ঘরবাড়ি, ডেইরি ফার্মসহ গুদাম বানান তিনি।
নামজারী পরবর্তী সরকারি ভূমি উন্নয়ন ও খাজনা পরিশোধও করছিলেন নিয়মিতভাবেই। তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বাড্ডা থানার মাদানী এভিনিউ ১০০ ফুট সংলগ্ন নেপচুন সিটির ১ নম্বর সেক্টরের ১০৩ ও ১০৮ নম্বর সড়কের ৫১ নম্বর প্লট ছেড়ে দিতে চিঠি দেওয়া হয়। বিনিময়ে অন্য জায়গায় প্লট দেওয়ার প্রস্তাব করা হলেও আমি লিখিতভাবেই তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখান করি। তারা আমাকে যে প্লট দিতে চায় তা ছিল অনেক ভেতরের জায়গায়। তাদের প্রস্তাব না মানায় একই বছরের ১০ অক্টোবর করোনা মহামারিতে লকডাউন চলাকালীন প্লট থেকে উচ্ছেদ করে মাটি দিয়ে ভরাট করতে চেষ্টা চালায়। এরপরই সিনিয়র সহকারী জজ আদালত-২, ঢাকায় একটি দেওয়ানী মোকদ্দমা করি। এরই ভিত্তিতে স্থিতাবস্থায় বজায় রাখার নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। কিন্তু ওই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই জমিতে মাটি ফেলে আরও উঁচু করে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়।
ভুক্তভোগী আরও অভিযোগ করেন, গত বছরের ৩ মার্চ একই আদালতে ভায়োলেশন মিস মোকদ্দমা করি। এরপরই আমার ছেলেসহ পরিবারের সবাইকে গুম ও হত্যা করার হুমকি-ধামকি দেওয়া শুরু হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি বাড্ডা থানায় জিডি করি। এছাড়াও মহানগর হাকিমের আদালতে সিআর মামলা করি। এরই ধারাবাহিকতায় পিবিআইকে তদন্তের করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন আদালত। প্রথমে পিবিআইয়ের বনশ্রী শাখা তদন্ত করলে এরই মধ্যে কল্যাণপুর অফিস থেকে বদরুল হায়দার নামে একজন পিবিআইয়ের এসআই পরিচয় দিয়ে জানান- মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা তিনি। তাকে জমি সংক্রান্ত কাগজাদি সরবরাহ করা হলেও তিনি ঠিক মতো সহায়তা করছেন না বলে অভিযোগ এম এম এ কাদেরের। এ পরিস্থিতিতে পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ন্যায্য সম্পত্তি প্রাপ্তির জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।