অবশেষে ইউএনওর ওপর হামলার দায় স্বীকার করলো রবিউল

0

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন রবিউল ইসলাম। তিনি ইউএনও কার্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী (ফরাস)। রোববার দ্বিতীয় দফা পুলিশি রিমান্ড শেষে দিনাজপুর আমলি আদালতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ঈসমাইল হোসেনের কাছে জবানবন্দি দেন তিনি।

রবিউল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হলে রোববার সকাল ১০টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তাঁকে আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ। আদালত নিয়ম অনুযায়ী রবিউলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে আদালত রবিউলকে হস্তান্তর করেন পুলিশের কাছে।

আসামি রবিউলকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইমাম জাফর সাংবাদিকদের বলেন, ‘৯দিনের রিমান্ড শেষে রবিউলকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। রিমান্ডে পুলিশের কাছে তিনি এ ঘটনায় তাঁর দায় স্বীকার করেন। দায় স্বীকারের একপর্যায়ে পুলিশ আদালতের কাছে তাঁর স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করার জন্য আবেদন করে। আদালত রবিউলের স্বেচ্ছায় প্রদান করা জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেছেন এবং সে তাঁর ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন।’

এদিকে শনিবার ঘোড়াঘাট উপজেলা চত্বর ওসমানপুর থেকে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিরাজুল ইসলাম(২৩) ও ১১ বছরের কিশোরকে আটক করে। আদালতে তাদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সঙ্গে লাগানো পানের দোকান তাদের। ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে রবিউল দোকানের কাছেই ছিলেন এবং সেখান থেকে পান খেয়েছেন।

এর আগে ছয় দিনের রিমান্ড শেষে ১৭ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রবিউলকে আদালতে তোলা হয়েছিল। আদালতে রবিউল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেবেন, এমনটিই জানানো হয়েছিল পুলিশের পক্ষ থেকে। কিন্তু ওই দিন তিনি জবানবন্দি দেননি। পরে আবারও তাঁকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। দিনাজপুর আমলি আদালত-৭-এর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আঞ্জুমান আরা বেগম তাঁর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

৯ সেপ্টেম্বর দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ধামাহার ভীমরুল গ্রামে নিজের বাসা থেকে রবিউলকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজের দায় স্বীকার করেন। ১২ সেপ্টেম্বর বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছিলেন, রবিউল দায় স্বীকার করেছেন যে এই ঘটনার প্রধান পরিকল্পনাকারী ও একমাত্র হামলাকারী তিনি নিজে। পরে তাঁকে ওই দিনই আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। প্রথম দফায় তাঁর ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *