হাসপাতাল থেকে ফিরেছেন ফারুক তবে এখনো দুর্বল
হাসাপাতাল থেকে ছাড় নিয়ে সিঙ্গাপুরের হোটেলে উঠেছেন বরেণ্য চিত্রনায়ক ও সাংসদ আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। গতকাল শুক্রবার তাঁকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তাঁর স্ত্রী ফারহানা পাঠান।
আজ শনিবার দুপুরে ফারহানা পাঠান বলেন, ‘ফারুককে নিয়ে আজ সকালেও চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে এসেছি। হাসপাতাল থেকে নিয়ে এলেও দুই দিন পরপর তাঁর শারীরিক অবস্থার ফলোআপের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। অনেক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের কারণে তার শরীর ভীষণ দুর্বল হয়ে গেছে।’
ফারহানা পাঠান আরও বলেন, ‘শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। শরীর ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়ায় চিকিৎসক বলেছেন, খাওয়াদাওয়া ঠিকমতো করতে হবে। আমি নিজে তার জন্য খাবার তৈরি করছি, খাওয়াচ্ছি। দেশবাসী সবার কাছে দোয়া চাইছি, যেন খুব দ্রুত ফারুককে নিয়ে দেশে ফিরতে পারি।’
ফারুকের স্ত্রী জানালেন, যেভাবে চিকিৎসা চলছে, তাতে আশা করছেন এ মাসের শেষ নাগাদ তাঁরা দেশে ফিরতে পারবেন। টিবি রোগ ছাড়া তাঁর শরীরে আপাতত আর কোনো ধরনের সমস্যা নেই। সিঙ্গাপুরে চিত্রনায়ক ফারুক চিকিৎসক লি, ইয়ান ও চৌনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন বলে জানান তাঁর স্ত্রী।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য ফারুককে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সাত বছর ধরে সিঙ্গাপুরের এ হাসপাতালেই তিনি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে আসছেন। এবার সিঙ্গাপুর যাওয়ার আগে নায়ক ফারুক দীর্ঘদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। দফায় দফায় জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় ঢাকার দুটি বড় হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করিয়েছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের এই বর্ষীয়ান অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সাংসদ আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। দুটি পরীক্ষাতেই তাঁর কোভিড-১৯ নেগেটিভ আসে।
এ ছাড়া টাইফয়েড, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার পরীক্ষাও করানো হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কোনো রোগ ধরা পড়েনি। এতে করে দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে ফারুকের পরিবারের। সে সময় চিকিৎসকেরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছিলেন, এই অভিনেতা টিবিতে ভুগছেন। অবশেষে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা নিশ্চিত হন, ফারুক টিবিতে আক্রান্ত। তাৎক্ষণিকভাবেই শুরু হয় তাঁর চিকিৎসা।