সরকারের পদত্যাগ ছাড়া সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না: মির্জা ফখরুল

0

২২ আষাঢ় ১৪৩০ বঙ্গাব্দ,
০৬ জুলাই ২০২৩ইং,
মহানগর প্রতিনিধিঃ

সরকারের পদত্যাগ ঘোষণার আগে বিএনপি কোনো ধরনের সংলাপে যাবে না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক বা নিরপেক্ষ সরকার যাই বলুক না কেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তার আগে এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এ ঘোষণা সরকারকে সবার আগে দিতে হবে। তাছাড়া সংলাপের কোনো প্রশ্নই উঠবে না।’

০৬ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএনপির প্রতিনিধি দল।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের অধিকার, কথা বলার অধিকার, বাকস্বাধীনতা- এগুলো পুনরুদ্ধার করার জন্য আমরা আন্দোলন করছি। বর্তমান অবৈধ সরকারের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অত্যন্ত সচেতনভাবে বাংলাদেশের সব অর্জনগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে আমাদের আন্দোলন একটা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ বছরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ আওয়ামী লীগ সরকার এ বছরেই একটি পাতানো নির্বাচন করার জন্য পাঁয়তারা করছে। পাতানো নির্বাচন এ দেশের মানুষ কখনো গ্রহণ করবে না। আমরা পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই, এ অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। এ দেশের মানুষ মেনে নেবে না। আমাদের পক্ষ থেকে দাবি উত্থাপন হয়েছে, পরিষ্কারভাবে বলেছি- এ সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।’
১২ দলের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়ার আগে সম্মিলিতভাবে যৌথ ঘোষণাপত্র ঘোষণা করবো। আর এ জন্যই আজকের বৈঠক।’ বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু। ১২ দলের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে ওলামায় ইসলাম মহাসচিব গোলাম মুহিউদ্দিন ইকরাম, ন্যাপ (ভাসানী) চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, জাগপার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল করিম, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির সভাপতি সৈয়দ জাভেদ মোহাম্মাদ সালেহ উদ্দিন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) মহাসচিব মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *