রাজধানীর বাইরে সব কারখানা স্থানান্তরের পরিকল্পনা
দিনবদল ডেক্স: রাজধানী ঢাকাকে বাসযোগ্য করার লক্ষ্যে শহরের ভেতরের সব কল কারখানা বাইরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য জাহান আরা বেগম সুরমার প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) আওতায় সাভারে ১৯৯ দশমিক ৪০ একর জমির উপর অত্যাধুনিক ও পরিবেশবান্ধব চামড়া শিল্পনগরী স্থাপন করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, ঢাকার মেট্রোপলিটন আবাসিক এলাকা বিশেষ করে পুরান ঢাকার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে কেমিক্যাল মজুদাগার/ কারখানা দ্রুত সরানোর জন্য বিসিকের আওতায় কেরানীগঞ্জ উপজেলার সোনাগান্ধা মৌজায় কেমিক্যাল পল্লী স্থাপনের বিষয়টি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
দিলারা বেগমের অপর প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী সাভার শিল্পনগরীর সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, হাজারীবাগে অপরিকল্পিত, দীর্ঘদিনের পুরানো, অবিন্যস্ত ও দূষিত পরিবেশে বিদ্যমান ১৫৫টি ট্যানারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের নামে ওই শিল্পনগরীতে ২০৫টি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৫০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের কারখানা নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। বাকিগুলো নির্মাণাধীন পর্যায়ে রয়েছে।
হাজারীবাগ থেকে চামড়া শিল্পনগরীতে চামড়া কারখানা স্থানান্তর করা হলে কাঁচা চামড়ার দর বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চামড়া ও চামড়াজাত দ্রব্য উৎপাদন সম্ভব হবে এবং রফতানি ও বৈদেশিক আয় বৃদ্ধি পাবে। ফলে প্রচুর লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাজারে কিছু নিম্নমানের মিনারেল ওয়াটার রয়েছে। তবে নিম্নমানের মিনারেল ওয়াটারে বাজার সয়লাব হওয়ার বিষয়টি যথাযথ নয়। তিনি বলেন, কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মুনাফার লোভে অবৈধভাবে নিম্নমানের ড্রিংকিং ওয়াটার বাজারজাত করে থাকে। এদের বিরুদ্ধে বিএসটিআই, আইনশৃংখলা বাহিনী ও জেলা প্রশাসনের সহায়তায় নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।