ইন্টারনেট বিল নিয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলো বিটিআরসি
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধের আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টানা তিনদিন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকলে গ্রাহকদের বিল দিতে হবে না। কিন্তু নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টানা ১৫ দিন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকলে গ্রাহকদের বিল দিতে হবে না।
সম্প্রতি বিটিআরসি ও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, একসময় নিয়ম ছিল টানা ২১ দিন ব্রডব্যান্ড সেবা বন্ধ থাকলে গ্রাহকদের বিল দিতে হবে না। কিন্তু বিটিআরসি বাস্তবতা অনুধাবন না করেই এবং আমাদের সঙ্গে বৈঠক না করেই সেটাকে তিনদিনে নামিয়ে আনে। এরপর আমরা তাদের সঙ্গে বৈঠক করে বলি কোনো জায়গায় আন্ডার গ্রাউন্ড লাইন কাটা গেল, এমটিপিএন ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকলো- তখন আমরা ওখানে (বিটিআরসিকে) বিল দেবো না, এটাও নিশ্চিত করতে হবে। তারপর অনেক এলাকায় বিভিন্ন সংস্থা ক্যাবল কেটে দেয়, ফাইবার অপটিক্যাল লাইন কেটে দেয়; তখন একদিনের মধ্যে তা সমাধান করে দিবে এর গ্যারান্টি চাই বিটিআরসির কাছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাদের বাস্তবতা অনুধাবনের অনুরোধ জানাই। এর প্রেক্ষিতে বিটিআরসি এই সিদ্ধান্ত নেয়।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, টানা পাঁচদিন অব্যাহতভাবে ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে মোট বিলের ৫০ ভাগ নিতে পারবে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। আর টানা ১০ দিন ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে মোট বিলের ২৫ ভাগ নেওয়া যাবে। এছাড়া টানা ১৫ দিন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকলে গ্রাহকদের বিল দিতে হবে না।
এদিকে বিটিআরসির নতুন এই সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, গ্রাহকের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয় এমন নির্দেশনা বিটিআরসি দিতে পারে না। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছে, আশা করছি বিটিআরসি এ সকল নির্দেশনা প্রত্যাহার করে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার কোয়ালিটি অব সার্ভিস নির্ধারণ করে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করবে। যে নীতিমালায় গ্রাহকস্বার্থ রক্ষা হবে, পাশাপাশি অপারেটররা জবাবদিহিতামূলক সেবা প্রদান করতে বাধ্য থাকবে।